৩.১ স্টোরিতে সূত্রের অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি লিখুন

৩.১ স্টোরিতে সূত্রের অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি লিখুন


কোনো সূত্র আদৌ কথা বলতে নাও চাইতে পারেন, তাই, সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন। টেলিভিশন বা রেডিওর জন্য রেকর্ডিংয়ে সাক্ষাৎকারদাতার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে উত্তর দিতে অস্বীকৃতি শোনা যেতে পারে, যা সম্পাদনার সময়ে আপনি দক্ষভাবে উপস্থাপন করে শুনিয়ে দিতে পারেন। ছাপা কাগজে আপনি লিখতে পারেন, ‘অমুক এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন’। আপনি যা লিখবেন, তাতে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলার দরকার নেই, শুধু জবাব দেননি সেটাই জানিয়ে দিন। কেউ কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানালে পাঠকই তার বিচার-বিশ্লেষণ করে নেবেন।

আপনার যৌক্তিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে আপনার সূত্র সরাসরি অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো সাক্ষাৎকারটাই বাদ দিতে হতে পারে। মাঝেমধ্যে এটা কাজে দিতে পারে: “আমি সত্যিই দুঃখিত, মাননীয় মন্ত্রী। আমি আগে থেকে ধারণা করতে পারিনি যে, এই ইস্যুগুলোতে আপনার কাছ থেকে কিছুই জানতে পারব না। অথচ, এগুলোই আমার স্টোরির মূল বিষয়। এখন এ বিষয়ে কেবল আমার পর্যবেক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মন্তব্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। আমি কি এটা বলে দেব যে আপনার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য নেই।” এরকম অবস্থায়, সাক্ষাৎকারদাতা বুদ্ধিমান হলে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন কিছু বলার। তখন তাঁর মনে হতে পারে, এই প্রতিবেদনে তাঁর কোনো বক্তব্য না যাওয়ার চেয়ে কিছু বলাই ভালো। কিন্তু তাঁরা যদি সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে ভদ্রতার সঙ্গে বিষয়টি ছেড়ে দিন।

আপনাকে আগেভাগেই বলা হতে পারে, নির্দিষ্টভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরও আপনার উচিত হবে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা এবং বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা। বিশেষ করে সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য এটা সত্য। আপনার সাক্ষাৎকারদাতা এবং পাঠক-দর্শক জানতে পারলেন, অন্তত আপনি প্রশ্নগুলো করেছেন। আপনি যদি সেটা না করেন, তাহলে নিজে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন। সবাই বলবে, আপনি প্রশ্নটা করেনইনি। আপনার সূত্রই হয়তো পরে দাবি করে বসবেন, আপনি প্রশ্নটা করলে তিনি অবশ্যই উত্তর দিতেন। তখন আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতে পারে।