১. ডেটা সুরক্ষিত রাখা


ডেটা সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে আপনি যদি কোনো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন, যেখানে অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের সংযোগ আছে এবং আপনি এমন দেশে কাজ করছেন, যেখানে ব্যক্তি-স্বাধীনতা সীমিত। যারা চায় না আপনার অনুসন্ধানটি প্রকাশ হোক, তারা হয়তো নানাভাবে আপনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে বা আপনার গবেষণার ওপর নজরদারি চালাতে পারে। সবসময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়তো ক্লান্তিকরও হয়ে উঠবে। কিন্তু আপনার নিজেকে এমন প্রশ্ন করতে হবে যে, কারা এই অনুসন্ধান বাধাগস্ত করতে চাইতে পারে? আরো জিজ্ঞাসা করুন: কী কী পন্থায় তারা তা করতে পারে? আপনার গবেষণা কি ব্যক্তিসূত্র নাকি ডিজিটাল সূত্র নির্ভর? আপনার কাজ রক্ষা করতে কোন নিরাপত্তা টুল ব্যবহার করা উচিত?

বলা বাহুল্য, আপনার সূত্রদেরও সুরক্ষা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাঁরা যোগাযোগের যেসব মাধ্যম ব্যবহার করছেন সে সব প্রযুক্তিগত মাধ্যমে অন্যের অনুপ্রবেশ থেকে নিজেকে সুরক্ষার টুলস সম্পর্কে সচেতন কি-না তা নিশ্চিত করুন। তারপরও, সচেতন থাকতে হবে যে কখনই শতভাগ সুরক্ষা সম্ভব না। আপনি শুধু আপনার তথ্য ও ডিভাইসে প্রতিপক্ষের অনুপ্রবেশকে কঠিন, ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘায়িত করতে পারেন।

এই অধ্যায়ে সুরক্ষা কৌশলগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা রয়েছে যা আপনার ডিভাইস বা যন্ত্রগুলোকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। কোনো সফটওয়ার (এখানে প্রস্তাবিত) ইনস্টল করার আগে প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন এর সাম্প্রতিকতম সংস্করণটি খুঁজে নিন, কেননা, ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। খুব সস্তা কিছু বেছে নেবেন না! বাজারে সফটওয়ারগুলোর দুই ধরণের সংস্করণ পাওয়া যায় – একটি বিনামূল্যে এবং অন্যটি কিনতে হয়। যাচাই করুন কোন প্রোগ্রামটি আপনার প্রয়োজন সবচেয়ে ভালোভাবে পূরণ করবে, এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন কোন সংস্করণটি ব্যবহার করবেন। আমরা ওপেন-সোর্স সফটওয়ার খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছি, কারণ এ ধরণের সফটওয়্যারের সুরক্ষা ব্যবস্থা অন্য আইটি-বিশেষজ্ঞরা যাচাই করতে পারেন। প্রাইভেট সফটওয়ার সাধারণত তাদের কোড দেখার অনুমতি দেয় না, যার অর্থ শুধু সফটওয়ারের মালিক ছাড়া আর কেউ এর সুরক্ষা হুমকি পরীক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু ওপেন সোর্স সফটওয়ারে সেই অনুমতি থাকে, তাই সম্ভাব্য সুরক্ষা গলদ খুব দ্রুত সনাক্ত করা যায়।