১.১ হতে হবে নির্ভুল


বর্ণনা ও উদাহরণ: আপনার পাঠকদের জন্য পেশাজীবিদের ব্যবহৃত বিশেষ ভাষা ও জটিল বিশেষণের ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং রিপোর্টজুড়ে একই ব্যাখ্যা বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, উদাহরণের মাধ্যমে এসব জটিল শব্দগুলোকে বোধগম্য করতে হবে।

অপ্রমাণিত বিষয়ের সরলীকরণ: ‘সর্বাধিক’, ‘অনেক’, ‘কিছু’, বা ‘কয়েকটি’ এমন শব্দগুলোর পার্থক্য ও অর্থ বুঝতে হবে। যথাযথভাবে শব্দগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। ‘সর্বাধিক’ ও ‘অনেক’ এর মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে অতি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং ‘সবাই’ বা ‘কেউ না’ এর মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে। কোনো কিছু কি ‘একমাত্র কারণ’ নাকি ‘অনেকগুলো কারণের একটি’? এটা কি ‘সবসময়ই’ নাকি ‘প্রায়শই’? বাস্তব উদাহরণ ও নাম উল্লেখ করা ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়গুলো সহজভাবে বোঝাতে হবে।

যুক্তিকে শক্তিশালী করুন: সাবধানতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দিয়ে সব বক্তব্য-বিবৃতির যুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যখন আপনার একটি ধারণা বা আইডিয়াকে সমালোচনা করার কথা তখন কোনো ব্যাক্তিকে আক্রমণ করবেন না। তথ্য ও যুক্তি দিয়ে আলোচনার মধ্যেই থাকুন। কোনো সুবিধা নেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্তগ্রহণের পক্ষে বা বিপক্ষে প্রভাব ফেলেছে কিনা তা পাঠককেই ঠিক করে নিতে দিন। কখনো কখনো তথ্যপ্রমাণগুলোই আপনার হয়ে কথা বলবে।

প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি: কোনো বিষয়ে ভালো ও মন্দগুলোর তালিকা করুন এবং সেগুলো ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় রাখুন। কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপের পেছনের কারণগুলোতে মনোযোগ দেওয়াও গুরুত্বর্পূণ। কেউ কিছু বললে তা কেন বলেছেন সেটা বোঝা দরকার। ঘটনার পটভূমি এবং উদ্ধৃতির জন্য একটি উৎস নয় বরং প্রাসঙ্গিক একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলুন, গবেষণা করুন।

সংস্কার, গৎবাঁধা বা আবেগ: গৎবাঁধা, ইতিবাচক কিম্বা নেতিবাচক ভাষা এড়াতে হবে এবং তা হতে হবে নিরপেক্ষ। আর, সব সূত্র ও বিষয়ের ক্ষেত্রে সমান সংযমী সংশয় থাকা ভালো।

জিজ্ঞাসা করা, ‘তাহলে কী’?: আপনার হাইপোথিসিসের সঙ্গে কোনো তথ্য প্রাসঙ্গিক কিনা, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার একটি ভালো উপায় নিজেকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা ‘তাহলে কী’? একটিমাত্র সহায়ক বা সমর্থনসূচক প্রমাণের বদলে বেশি সাক্ষ্য ও নজির দিতে পারলে তার গুরুত্ব অনুসন্ধানী রিপোর্টকে যথাযথ ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। আপনার কাছে অনেক বেশি স্বাক্ষ্য ও নজির থাকলে সেগুলোকে স্পষ্ট করুন এবং বাহুল্য বর্জন করুন। এমনকি, আপনি আবারও সূত্রের কাছে ফিরে গিয়ে বিষয়গুলের আরও বিশদ ব্যাখ্যা জানতে চাইতে পারেন। আপনি হয়তো পটভূমিটাও আগেভাগে ব্যাখ্যা করে দিতে চাইবেন। এতে করে ঘটনার সময়কার পরিবেশ-পরিস্থিতি ও ফলাফল সম্পর্কে পাঠকদের আরও ভালোভাবে ধারণা দেওয়া সম্ভব। এছাড়া, আপনি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তাদের সেরকম কাজে জড়িত হওয়ার কারণ, উদ্দেশ্য এবং সুযোগ ছিল কিনা সে বিষয়েও তথ্য যুক্ত হবে।